নিজস্ব প্রতিবেদক;

চট্টগ্রামের নিউ মার্কেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর গুলি বর্ষণ ও হামলার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক এমপি এমএ লতিফ, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, সাবেক এমপি এমএ সালাম, সাবেক এমপি দিদারুল আলম দিদারসহ ৩৫১ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০০/ ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাতে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক।

মামলার বাদি কোতোয়ালি থানাধীন জেল রোড় নুর মোহাম্মদ সওদাগর বাড়ির মৃত নাছির উদ্দিন এর ছেলে মঈন উদ্দিন রাজীব (৪০)। তিনি আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক।

মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন-কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, আব্দুর সবুর লিটন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, নাজমুল হক ডিউক, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুরুল মোস্তফা টিনু, শৈবাল দাশ সুমন এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাবেক ভিপি খলিলুর রহমান নাহিদ, সাবেক জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চু, সাবেক মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৩৫১ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকালে ও দুপুরে নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আসামিদের হামলা ও নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনায় বাদীসহ আরিফ (২১), হাসান (১৮), শামীম (২৩), রবিউল (১৯) ও আমান (২০) কে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। বর্তমানে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

এক এজাহারে এত আসামি আর এত অজ্ঞাত আসামি দেখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনাও করছেন।

তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, ফৌজদারি মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) বা এজাহারে ভুলত্রুটির দায় বর্তাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি)। ভুল থাকা এজাহারে সই করলে পড়তে হবে শাস্তির মুখে। সম্প্রতি এমন নির্দেশনা ও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ওসিদের।